Previous
Next

সর্বশেষ

ভিডিও জনপ্রিয় করতে  ইউটিউবের নতুন ফিচার টেস্ট অ্যান্ড কমপেয়ার

ভিডিও জনপ্রিয় করতে ইউটিউবের নতুন ফিচার টেস্ট অ্যান্ড কমপেয়ার

আজকাল নিউজ ডেস্ক:  অনলাইনে জগতে বিনোদনের অন্যতম প্লাটফরম  ইউটিউব। আনন্দ, শিক্ষা, বিনোদন, খেলা, সংবাদ, প্রযুক্তি, সাজসজ্জা, রান্না ও ভ্রমণ থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের ভিডিও রয়েছে ইউটিউবে। ভিডিও দেখার পাশাপাশি ইউটিউবে ভিডিও প্রকাশ করে আয়ও করছেন অনেকে ইউটিউবাররা। তবে নিজেদের তৈরি ভিডিওতে ভালো মানের থাম্বনেইল ব্যবহার না করায় বেশির ভাগ নির্মাতার ভিডিও দর্শকেরা দেখেন না। 
test and compare
এ ধরনের সমস্যা সমাধানে ‘টেস্ট অ্যান্ড কমপেয়ার’ (Test And Compare) নামের নতুন টুল তৈরি করছে ইউটিউব কতৃপক্ষ। থাম্বনেইলের মাধ্যমে ভিডিওর বিষয়বস্তু সংক্ষেপে প্রকাশ করা হয়। আর তাই অল্প কথায় আকর্ষণীয় ও প্রফেশনাল থাম্বনেইল তৈরি করলে ভিডিও দেখতে আগ্রহী হন অনেক দর্শক। তাই ইউটিউবে ভিডিও জনপ্রিয় করতে ভিডিওর বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করে ভালো মানের থাম্বনেইল নির্বাচন করে দেবে টেস্ট অ্যান্ড কমপেয়ার এই টুলটি। শুধু তা–ই নয়, ভিডিও প্রকাশের আগেই ভিডিও নির্মাতাদের তৈরি থাম্বনেইল ভালো না খারাপ হয়েছে তাও জানাবে এ টুল।

ফলে ভালো মানের থাম্বনেইল ব্যবহার করে দ্রুত ভিডিও জনপ্রিয় করা যাবে। ইউটিউবের তথ্যমতে, টেস্ট অ্যান্ড কমপেয়ার নামের টুল তৈরির কার্যক্রম এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও বর্তমানে শতাধিক ভিডিও নির্মাতাদের ওপর টুলটির কার্যকারিতা পরখ করা হচ্ছে। টুলটির মান উন্নয়ন করে শিগগিরই উন্মুক্ত করা হবে। টুলটি চালু হলে ভিডিও নির্মাতাদের নিজেদের ভিডিওতে ব্যবহারের জন্য তিন ধরনের থাম্বনেইল লিখে জমা দিতে হবে। 

ভিডিও এবং থাম্বনেইলগুলো পর্যালোচনা করে সেরা থাম্বনেইল নির্বাচন করে দেবে টুলটি। উল্লেখ্য, ইউটিউব ভিডিওর পরিচিতি সংক্ষেপে প্রকাশের জন্য সঠিক থাম্বনেইল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১২৮০ বাই ৭২০ পিক্সেল রেশিওতে বাক্য, এক বা একাধিক ছবি, লোগো দিয়ে সহজেই ভালোমানের থাম্বনেইল তৈরি করা যায়। নতুন টুলটি চালু হলে সহজেই নিজেদের তৈরি ভিডিও আরও আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা যাবে।  সূত্র: ম্যাশেবল
বানিয়াচং আইডিয়েল কলেজে ৪ তলা ভবন উদ্বোধন ও আলোচনা সভা

বানিয়াচং আইডিয়েল কলেজে ৪ তলা ভবন উদ্বোধন ও আলোচনা সভা

জুয়েল রহমান হবিগঞ্জ সংবাদদাতা: হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের সুনামধন্য ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইডিয়েল কলেজের নবনির্মিত ৪ তলা ভবনের উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার ২২ মে দুপুর ১২ টায় বানিয়াচং আইডিয়েল কলেজের আয়োজনে কলেজের দক্ষিণ পাশে ৪ তলা ভবনটির উদ্বোধন এবং কলেজের মাঠ প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জীববিজ্ঞানের প্রভাষক অরুপ কুমার দাসের সঞ্চালনায় ও বানিয়াচং ১ নম্বর উত্তর-পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইডিয়েল কলেজের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথির কাছে বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাছিরা আক্তার অনামিকা। 
হবিগঞ্জ
অনুষ্ঠানে উদ্ভোধক হিসেবে ৪ তলা ভবনের উদ্বোধন ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনবান্ধব সরকার।জনগনের কল্যাণে সরকার শিক্ষা, চিকিৎসা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি খাতে প্রচুর পরিমানে অর্থ ব্যয় করছে। নতুন নতুন রাস্তা-ঘাট, শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবকিছু বর্তমান সরকার আওয়ামী লীগ সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান। তিনি আরো বলেন, "যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি তত বেশি উন্নত"। একটি দেশকে এগিয়ে নিতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। তিনি কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু শিক্ষিত হলে হবেনা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। এতে করে তোমরা সুনাগরিক হয়ে উন্নত দেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে। এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমিন, আইডিয়েল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও বানিয়াচং ২ নম্বর উত্তর-পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দারুজ্জামন খান (ধন মিয়া)। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সম্পদ কান্তি দাস, সুফিয়া মতিন কলেজের অধ্যক্ষ সুলতান আহমদ ভূঁইয়া, সিনিয়র ফাজিল আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিফাল মাও: আব্দাল হোসেন খান, বিএসডি মহিলা আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাও: মুবাশ্বির আহমদ, মাও: কাজী আতাউর রহমান, ৪ নম্বর দক্ষিণ -পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, আইডিয়েল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ স্বপন কুমার দাস, কলেজের ইংরেজি প্রভাষক জসিম উদ্দিন, মেধাবিকাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভানু চন্দ্র চন্দ, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আসাদ খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম খান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মুত্তাকিন বিশ্বাস, আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বিপুল ভূষণ রায় প্রমুখ।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাতাপুর মহল্লার সাবেক সর্দার এস,এম আলী আক্কাস, বানিয়াচং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভিন আক্তার খানম, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহিবুর রহমান, সাংবাদিক রায়হান উদ্দিন সুমন, শেখ জওহর হোসেন ফাহদী, আক্তার হোসেন আলহাদী, হৃদয় খান, শেখ নুরুল ইসলাম, তাপস হোম সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ এলাকার গুণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আইডিয়েল কলেজ প্রভাষকবৃন্দ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে হায়দারুজ্জামান খান (ধন মিয়ার) প্রচেষ্টায় ও বানিয়াচংয়ের বিভিন্ন ছান্দ ও মহল্লা এবং বিভিন্ন প্রবাসীদের অর্থায়নে বানিয়াচং আইডিয়েল কলেজ স্থাপিত হয়। সেই ২০১১ সাল থেকে সুনামের সাথে আজ পর্যন্ত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির পড়াশোনার গুণগতমান ও  অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীকে প্রভাষকগণ সুশিক্ষায় শিক্ষিত করনের অগ্রণীভূমিকা রাখায় এমপিও তালিকাভুক্ত হয়েছে।
 প্রথম গুপ্তচর স্যাটেলাইট পরিদর্শন করলেন কিম

প্রথম গুপ্তচর স্যাটেলাইট পরিদর্শন করলেন কিম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন  প্রথম সামরিক গুপ্তচর স্যাটেলাইট পরিদর্শন করেছেন এবং এটির ‘ভবিষ্যত কর্ম পরিকল্পনার’ অনুমোদন দিয়েছেন। বুধবার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।

কিম
উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানায়, স্যাটেলাইটটি দেখার আগে কিম মঙ্গলবার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের দায়িত্বে নিয়োজিত অস্থায়ী কমিটির সাথে সাক্ষাত করেন।

এক মাস আগে কিম বলেছিলেন যে স্যাটেলাইটটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং তিনি এটির উৎক্ষেপণের জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছেন।
পিয়ংইয়ং সলিড-ফুয়েল চালিত আন্ত:মহাদেশীয় একটি নতুন ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করার প্রায় এক সপ্তাহ পর ১৮ এপ্রিল প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। উত্তর কোরিয়ার নিষিদ্ধ অস্ত্র কর্মসূচির ক্ষেত্রে এটিকে একটি বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলেছেন যে, আইসিবিএম এবং মহাকাশ উৎক্ষেপণ সক্ষমতার বিকাশের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এটি।
কেসিএনএ জানায়, কমিটির কাজের ব্যাপারে বিস্তারিত জানার পর মঙ্গলবার কিম শত্রু পক্ষের শক্তি ও গতিবিধি এবং পরিবেশ পর্যবেক্ষণের কাজে ব্যবহার করা সামরিক গুপ্তচর স্যাটেলাইট-১ পরিদর্শন করেন।
উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ‘সংঘাতমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ’ গ্রহণ করে উত্তেজনা আরো উস্কে দেওয়ায় কিম যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াকে অভিযুক্ত করে বলেন, এক্ষেত্রে তার দেশ আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করবে।
কেসিএনএ আরো জানায়, পরে কিম ‘প্রস্তুতি কমিটির ভবিষ্যত কর্ম পরিকল্পনার অনুমোদন দেন।’
২০২১ সালে কিমের দিকনির্দেশনায় হাতে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা প্রকল্পগুলোর অন্যতম ছিল একটি সামরিক গুপ্তচর স্যাটেলাইট নির্মাণ করা ।
আজ শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

আজ শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কোলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কালরাতে নর ঘাতকরা ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকান্ডের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এসময় বিদেশে থাকায় আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে ঘাতক গোষ্ঠী।
বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমনি ক্রান্তিলগ্নে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার পবিত্র দায়িত্ব অর্পণ করা হয় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যার হাতে। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বকে ভয় পায় ঘাতক গোষ্ঠী। খুনি সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করতে না দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখ লাখ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সেদিন সারা বাংলাদেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। স্বাধীনতার অমর স্লোগান, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃ হত্যার বদলা নেব’; ‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথে’। ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’।
দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।
সে দিন বিকেল সাড়ে চারটায় আকাশে যখন শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি দেখা যায় তখন সকল নিয়ন্ত্রণ আর অনুরোধ আবেদন অগ্রাহ্য করে হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকে যায়। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই বিমানটি অবতরণ করে। জনতা একেবারেই বিমানের কাছে চলে যায়। বহু চেষ্টার পর জনতার শ্রোতকে কিছুটা সরিয়ে ট্রাকটি ককপিটের দরজার একেবারে সামনে নেয়া হয়। এই সময়ে শেখ হাসিনা ভেতর থেকে জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন।
বেলা ৪টা ৩২ মিনিটে শেখ হাসিনা সিঁড়ি দিয়ে ট্রাকে নেমে আসেন। কুর্মিটোলা থেকে শেখ হাসিনার শেরেবাংলা নগরে এসে পৌঁছতে সময় লাগে ৩ ঘন্টা। এ সময় ঝড় বৃষ্টিতে নগর জীবন প্রায় বিপন্ন। রাস্তাঘাট স্বাভাবিক জীবন যখন ব্যাহত তখন এখানে অপেক্ষা করে কয়েক লাখ মানুষ। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তিনি গণসংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হন।
১৯৮১ সালের ১৭ মে ঝড়-বাদল আর জনতার আনন্দাশ্রুতে অবগাহন করে শেরে বাংলা নগরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই, বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’  
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর যখন প্রবঞ্চক বিশ্বাসঘাতক খুনি দেশদ্রোহীরা প্রিয় মাতৃভূমিকে ক্ষত-বিক্ষত করে তুলেছিল আমাদের জাতীয় জীবন যখন জাতিদ্রোহীদের অত্যাচারের প্রচন্ড দাবদাহে বিপর্যস্ত তখন শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল শ্রাবণের বারিধারার মতো পাহাড় সমান বাঁধা জয়ের অনন্ত অনুপ্রেরণা। সে দিন বঙ্গবন্ধু কন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে অশ্রু-বারিসিক্ত জন্মভূমিতে সঙ্কটজয়ের বীজ রোপিত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রদীপ্ত অগ্নিশপথের রৌদ্রালোকে উদ্ভাসিত হয়েছিল বাঙালি জাতি।
ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নিরবচ্ছিন্ন দীর্ঘ সংগ্রাম শুরু হয়। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সামরিক জান্তা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে চলে তাঁর অকুতোভয় সংগ্রাম। জেল-জুলম, অত্যাচার কোনো কিছুই তাঁকে তাঁর পথ থেকে টলাতে পারেনি এক বিন্দু । শত প্রতিকূলতাতেও হতোদ্যম হননি কখনো। বাংলার মানুষের হারিয়ে যাওয়া অধিকার পুনরুদ্ধার করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি বার বার স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেছেন, আবির্ভূত হয়েছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা রূপে।
আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর দীর্ঘ ৪২ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের নরঘাতক মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন এবং রায় কার্যকর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এক সময় দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতো সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তালাবিহীন ঝুঁড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।
রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সততা, মেধা, দক্ষতা ও গুণাবলিতে সমসাময়িক বিশে^র অন্যতম সেরা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। আপন কর্ম মহিমায় হয়ে উঠেছেন-নব পর্যায়ের বাংলাদেশের নতুন ইতিহাসের নির্মাতা; হিমাদ্রী শিখর সফলতার মূর্ত-স্মারক, উন্নয়নের কান্ডারি। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার বাঙালির আশা-আকাক্সক্ষার বিশ্বস্ত ঠিকানা, বাঙালির বিশ্বজয়ের স্বপ্ন-সারথি। বিশ্ব রাজনীতির উজ্জ্বলতম প্রভা-আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পিছিয়ে পড়া দেশ-জাতি জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র হিসেবে বিশ্বনন্দিত নেতা। বারবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা ‘নীলকণ্ঠ পাখি’ মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তমানবী। তিমির হননের অভিযাত্রী মানবতার মা, আত্মশক্তি-সমৃদ্ধ সত্য-সাধক। প্রগতি-উন্নয়ন শান্তি ও সমৃদ্ধির সুনির্মল-মোহনা। এক কথায় বলতে গেলে সাগর সমান অর্জনে সমৃদ্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কর্মময় জীবন।
শেখ হাসিনার দীর্ঘ ৪২ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের এ পথচলা কুসুমাস্তীর্ণ ছিলনা ছিল কণ্ঠকাপূর্ণ ও বিপদসংকুল। গণমানুষের মুক্তির লক্ষে আন্দোলন সংগ্রাম করার অপরাধে তাঁকে বারবার ঘাতকদের হামলার শিকার ও কারা নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। কিন্তু তিনি বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে ছিলেন পিতার মতোই অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী। জনগণের ভালবাসায় অভিষিক্ত হয়ে টানা তৃতীয় বারসহ চতুর্থ বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ন্যায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তখন এদেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়ন করেছেন বহুমাত্রিক উদ্যোগ। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের প্রতি অগাধ প্রেম এবং অক্ষয় ভালোবাসাই হলো তাঁর রাজনৈতিক শক্তি।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্য  রয়েছে: আজ ১৭ মে সকাল ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন’র সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
বিকাল সাড়ে ৩ টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও বরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা বক্তব্য রাখবেন। সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।
দোয়া মাহফিল ও বিশেষ প্রার্থনা সভা : মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। সকাল ১১টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ (৩/৭-এ সেনপাড়া, পবর্তা, মিরপুর-১০)-এ খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডাস্থ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সকাল ১০টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ’৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন এবং তাঁর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের পর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি যুগান্তকারী ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। তিনি গত চার দশকের বেশি সময় আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।
দিবসটি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের জন্য সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত।

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত।

১০দিনের ভিতরে সকল অবৈধ দেশীয় অস্ত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে জমা দেওয়ার হুশিয়ারী-জেলা প্রশাসক 

জুয়েল রহমান  বানিয়াচং( হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা ঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা জঙ্গিবাদ ও দাঙ্গা প্রতিরোধে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকাল ৫টায় স্থানীয় ডাঃ ইলিয়াছ একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়ে বানিয়াচং উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে

উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ‘র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডিসি মিন্টু চৌধুরী, 
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, উপ-পরিচালক জেলা এনএসআই আজমুল হোসেন,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম চৌধুরী, জেলা ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান,ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মিয়া,ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান,আহাদ মিয়া, আরফান উদ্দিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান  আনোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান খান,মাসুদ কোরাইশী মক্কী, দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বিপুল ভূষণ রায়, ইমাম সমিতির সভাপতি আতাউর রহমান,বানিয়াচং প্রেসক্লাব সভাপতি মোশাহেদ মিয়া, কমিউনিটি নেতা স্মৃতি চ্যাটার্জি কাজল,সামাজিক নেতা আমীর হোসেন নিয়াশা,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাওঃহাবিবুর রহমান,ডা:ইলিয়াছ একাডেমির প্রধান শিক্ষক হেমায়েত আলী খান,যুবলীগ নেতা শাহজাহান মিয়া,সমাবেশে হবিগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান তার বক্তব্যে আহবান জানিয়ে বলেন,আগামী ১০ দিনের মধ্যে বানিয়াচংয়ের সকল অবৈধ দেশীয় অস্ত্র আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট জমাদানের জন্য আহবান জানিয়ছেন।
এর ব্যাতিক্রম হলে আইনানুগভাবে  ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
উল্লেখ্য যে,বিগত এপ্রিল মাসে বানিয়াচংয়ে দুটি গ্রাম্য দাঙ্গায় ১০নং সুবিদপুর ইউনিয়ন ও ১১নং মক্রমপুর ইউনিয়নে ৪ জন লোক প্রাণ হারিয়েছেন।
এছাড়াও একই মাসে ৮নং খাগাউড়া ইউনিয়নে ভাতিজার দায়ের কোপে চাচা নিহত হওয়ায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয় বলে উপজেলা ও জেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার অভিযান করার জন্য এলাকাবাসী দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
উক্ত সভায় স্হানীয় সংবাদকর্মীগন ও উপস্থিত ছিলেন।
 বিরামপুরে ভুট্টা তুলতেও ব্যস্ত কৃষকেরা

বিরামপুরে ভুট্টা তুলতেও ব্যস্ত কৃষকেরা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  দিনাজপুর জেলার  বিরামপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে  ইরি ও বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ের সাথে সাথে শুরু হয়েছে ভুট্টা ঘরে তোলারও ধুম। ক্ষেত থেকে ভুট্টা সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। ভুট্টার মাঠ জুড়ে চলছে নারী ও পুরষ শ্রমিকদের চরম কর্মব্যস্ততা।

বিরামপুরে ভুট্টা তুলতেও ব্যস্ত কৃষকেরা

জানা গেছে, বিরামপুর উপজেলায় ফসলের মাঠে ছেয়ে আছে ভুট্টা আর ভুট্টা ক্ষেত। অন্যান্য ফসল চাষের চেয়ে ভুট্টা চাষে খরচ ও পরিশ্রম কম হওয়ায় এ উপজেলায় অনেক কৃষকই  ভুট্টা চাষ করেছেন। ইরি ও বোরো ধান চাষের পাশাপাশি ভুট্টা চাষে অধিক ফলন ও দাম ভালো প্রতি বছর ভুট্টা চাষ বাড়ছে।

উপজেলার  পটুয়াকোল গ্রামের ভুট্টা চাষি  নজরুল ইসলাম জানান, ধানের তুলনায় ভুট্টা চাষে খরচ কম, সেচও কম লাগে। তাই ভুট্টা চাষে দিন দিন কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। 

আরেক চাষি কামরুজ্জামান  বলেন, ভুট্টা চাষে পরিশ্রম কম লাগে। ধান চাষে পরিশ্রম হয় বেশি পরিশ্রমের  তুলনায় ফলন হয় না। ধানের ফলন ভালো হলেও দাম নিয়ে চলে টালবাহানা। সে তুলনায় ভুট্টা চাষে লাভ বেশি।

বিরামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, বিরামপুর উপজেলায় ১ হাজার ৭শ ২৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। এ বছর প্রতি হেষ্টর জমিতে সাড়ে ১০ মেট্রিক টন পর্যন্ত ভুট্টার ফলন হচ্ছে। বাজারে প্রতিমণ ভুট্টা বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে।

বিরামপুরে আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস পালিত

বিরামপুরে আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস পালিত

আঃ আজিজ, স্টাপ রিপোটার:‘আমাদের নার্স আমাদের ভবিষ্যৎ’ স্লোগানকে সামনে রেখে দিনাজপুরের বিরামপুরে আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে। 

বিরামপুরে আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস পালিত
দিবসটি উপলক্ষ্যে নিউ বিরামপুর নার্সিং ইন্সটিটিউট এর উদ্যোগে শুক্রবার (১২ মে) বেলা ১০টার দিকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শিমুলতলীস্থ  নিউ বিরামপুর নার্সিং ইন্সটিটিউট  হতে বিরামপুর ঢাকা মোড় পর্যন্ত প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শেষে নিউ বিরামপুর নার্সিং ইন্সটিটিউট-এ এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

আলোচনা সভায় নিউ বিরামপুর নার্সিং ইন্সটিটিউট  এর অধ্যক্ষ আরতী রানী মহন্তের সভাপতিত্বে  বক্তব্য রাখেন অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক  হারুনুর রশিদ, পরিচালক নুর আলম ও শিক্ষার্থী নওশীন করির চৈতী ও প্রমুখ। 

এমসয় উপস্থিত ছিলেন  অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মন্ডলী ও শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীবৃন্দ। 

cake

আলোচনা সভা শেষে নার্সেস এর প্রতিষ্ঠাতা মিস ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের ২০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মোমবাতি জ্বালিয়ে  বিশাল আকৃতির কেক কাটা হয়।